জামিয়া নু'মানিয়া


নিয়ম কানুন।

মাদরাসায় প্রত্যেক আরবী শাবান মাসের ১, , ও ৩ তারিখে ভর্তি শুরু হয়। জামিয়া নুমানিয়ার স্টাফ ও ছাত্রদের ইউনিফর্ম হল সাদা রঙের পোশাক। হযরত ইবনে আব্বাস (রযি) বলেন, আল্লাহর রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কাপড় সমূহের মধ্যে সাদা কাপড়ই সবচেয়ে উত্তম। অতএব, তোমরা তোমাদের মৃতদের সাদা কাপড়ে কাফন দাও এবং তোমরাও সাদা কাপড় পরিধান কর। (ইবনে মাজাহ ১৪৭২ নং হাদীস)


ছুটির নিয়মাবলী।

  • গার্জেনরা সাক্ষাৎ করবেন রবিবার। সাক্ষাতের সময়, দুপুরে ছুটির পর থেকে এক ঘন্টা ও আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত।
  • সাক্ষাতের জন্য মহিলাদের মাদরাসার ভিতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
  • ঈদুল আযহা ও অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষার ছুটি ব্যতীত অত্যাবশ্যক প্রয়োজন ছাড়া ছুটি দেওয়া হবে না।
  • ঈদুল আযহা ও অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষার ছুটি ব্যতীত অত্যাবশ্যক প্রয়োজন ছাড়া ছুটি দেওয়া হবে না।
  • মৌখিক ছুটি গ্রহণযোগ্য নয়। মাদরাসার পক্ষ থেকে নির্দিষ্ট ছুটির খাতায় লিখিতভাবে ছুটি মঞ্জুর করাতে হবে।
  • বাড়ি থেকে আসার পর ছুটির ভারপ্রাপ্ত উস্তাদের কাছ থেকে ছুটির খাতায় উপস্থিতির সই নিয়ে ক্লাসে বসতে হবে।
  • ছুটি না নিয়ে মাদরাসা থেকে অনুপস্থিত থাকলে কর্তৃপক্ষ মাদরাসায় না রাখার সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

 


দাখিলার নিয়ম কানুন।

  1. আমি দ্বীনি ইল্‌ম একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দ্যেশেই অর্জন করব।
  2. আমি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের আক্বীদাহ ও মতপথ মেনে চলব।  
  3. মাদরাসার পক্ষ হতে নির্ধারিত ও বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত আইন-কানুন মেনে চলব। এ বিষয়ে মাদরাসার পরিচালকবর্গের উপর কোনরূপ হস্তক্ষেপ করব না।
  4. মাননীয় শিক্ষকমণ্ডলী ও কর্তৃপক্ষকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করব। কখনও তাঁদের সাথে অসম্মানজনক ব্যবহার করব না।
  5. মাদরাসা বিরোধী কোন কাজ করব না। কখনও তা করলে, যে কোন শাস্তি নিতে বাধ্য থাকব। 
  6. লেবাস- পোশাক ও কাটছাট শরীয়ত সম্মত রাখব। 
  7. মাদরাসার পরিবেশে মোবাইল ব্যবহার করা সম্পূর্ণ বর্জন করব।
  8. কোন নেশা জাতীয় বস্তু (যেমন গুল, খৈনী ইত্যাদি) ব্যবহার করব না।
  9. যদি কর্মকর্তাদের অগোচরে মাদরাসা থেকে পলায়ন করি কিংবা মাদরাসার ভিতরে নিজের জান-মালের ক্ষতি করি, তাহলে আমি নিজেই দায়ী থাকব। কর্তৃপক্ষ এর জন্য  কারও নিকট জবাবদিহি করতে বাধ্য থাকবেন না।
  10. আমি পুরো বছরের বিভিন্ন খরচাদির জন্য মাদরাসা কর্তৃপক্ষকে অভিভাবক বানালাম। মুহতারম সেক্রেটারী সাহেব ! আপনি আমার দরখস্ত মঞ্জুর করে আমাকে ইল্‌মে দ্বীনশিক্ষা করার সুযোগ দান করে কৃতজ্ঞ করবেন।